বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৩

বিউটি টিপস (ছেলে মেয়ে সকলের জন্য)


*** মেয়েদের একটা সমস্যা হল ব্রোনের দাগ মেটানো৷ যদি মুখে ব্রোনের কারণে দাগ হয তাহলে দুটো বাদাম পিষে তার মধ্যে দুধ ও এক চামচ শুকনো কমলা লেবুর গুড়ো মিশিয়ে আস্তে আস্তে মুখে ঐ পেস্টটা লাগান৷ বেশ কিছুক্ষন রাখার পর ঐ প্যাকটা যখন মুখে শুকিয়ে যাবে তখন জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন৷ অল্প দিনের মধ্যেই আপনার মুখের সব দাগ দূর হযে যাবে৷

*** মুসুর ডাল গুড়ো করে তার মধ্যে ডিমের হলুদ অংশটা মেশান৷ রোদের
মধ্যে এই পেস্টটা শুকিয়ে শিশির মধ্যে ভরে রেখে দিন৷ প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে 2 ফোটা লেবুর রসের সঙ্গে 1 চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগান৷ আধ ঘন্টা রাখার পরে মুখটা ধুয়ে ফেলুন৷ এতে আপনার মুখের রঙ ফর্সা হয়ে যাবে৷
*** ত্বক ভালো রাখার একমাত্র উপাদান হল পানি। প্রচুর পানি খেলে শরীর এর টক্সিন বের হয়ে যায়। রুক্ষতা থাকে না। ত্বক সতেজ থাকে। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক নানা জিনিস ই ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। ফলের রস, শরবতের মতো তরল জাতীয় খাবার বেশি খাবেন। কোন ধরনের দুশ্চিন্তা করবেন না।
*** যদি মাথায় চুল কমে যায় এক চামচ কেস্টার ওয়েলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে রাতে মাথায় লাগান৷ পরের দিন সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন৷ এরকম কিছুদিন লাগালেই চুল পড়া বন্ধ হয়ে যাবে৷
*** এক গ্লাস জলের মধ্যে বরফ দিয়ে ওর মধ্যে মধু, লেবু এবং পুদিনা পাতা দিন৷ সেই জলটা পান করুন৷ এতে চমক বাড়বে৷
*** মুখের কালো ছাপ দূর করতে হলে দুধের স্বরের মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান৷ কিছুক্ষন রাখার পরে গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন৷
*** ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বক হলে ত্বকে ব্রন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে এই ব্রন জন্মাতে পারে না। তাছাড়া রোদে পোড়ার সমস্যা হতে পারে। এতে করে বয়সের ছাপ পড়ে ত্বকে। তাই এই ধরনের ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত ফেস ওয়াশ ব্যাবহার করা উচিৎ।
*** প্রতিদিন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে হালকা গরম পানিতে লবন ও লেবুর রস দিয়ে ১০ মিনিট পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পা ধুয়ে ফেলুন। পায়ে কোন দুর্গন্ধ থাকবে না।
*** সকালের খাবারের পরই চা পান করা ঠিক নয়। ভরপেট সকালের নাশতা খাওয়ার পরে চা খেলে কিডনিতে সমস্যা হয়। তাই নাশতা খাবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর চা পান করা উচিৎ।
*** প্রত্যেক মানুষ ই আলাদা। এ কারনে প্রত্যেকের খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম পদ্ধতি আলাদা হবে। কোন বেলায়ই খাবার বাদ দেয়া যাবে না। অতিরিক্ত ক্যালরি যুক্ত খাবার কম খেতে হবে। কিন্তু ক্ষুধার্ত থাকা যাবে না। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। হাঁটার সময় প্রথম ২০ মিনিট কোন ক্যালরি ক্ষয় হয় না। এসময় শুধু ওয়ার্ম আপ হয়। তারপর শুরু হয় ক্যালরি ক্ষয়। প্রতিদিন একই সময়ে ব্যায়াম করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
জেনে নেই …
ফেসওয়াশঃ গরমের দিনে ত্বকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে হয়। এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন-সমৃদ্ধ সাবান অথবা ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ। তবে গরমে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার।
সানস্ক্রিনঃ গরমের দিনে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রসাধন হচ্ছে সানস্ক্রিন। রোদ থেকে রক্ষা পেতে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন, বিশেষ করে চোখের নিচের নমনীয় ত্বকের জন্য মেডিকেটেড সানস্ক্রিন এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেলবিহীন সানস্ক্রিনই ব্যবহার করতে হবে।
ক্রিমঃ শুষ্ক ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য এবং বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সবসময় ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। অবশ্য ক্রিমের বদলে বেবি লোশনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে গরমের দিনে ক্রিম হতে হবে তেলবিহীন। নতুবা ক্রিমের অতিরিক্ত তেল গরমে আরো বেশি সমস্যা তৈরি করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন