স্বচ্ছ আয়নায় সুন্দর মুখ কার না ভালো লাগে, সেই সুন্দর মুখের অর্থ কী! এর উত্তর একেক জনের কাছে একেক রকম। তবে অধিকাংশ প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উত্তর একই রকম। সুন্দরের প্রথম শর্ত হল ফর্সা হওয়া। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখলে এমনটাই মনে হয়। তবে বাত্মবতা হল এসব চটকদার বিজ্ঞাপনের জমকালো পার্টিতে উঠতে গিয়ে খুইয়েছেন মুখের স্বাভাবিক সৌন্দর্যটুকু।
একইভাবে বোটানিক এ্যারোমার বিজ্ঞাপন দেখে এবং তা বিশ্বাস করে অনেকেরই পরিণাম হয়েছে ভয়াবহ। কৃষিবিদ মোসলেম উদ্দিন বিশ্বাসকে মূল্য দিতে হয়েছে তার চেহারা দিয়ে। পুড়ে গেছে তার মুখের ত্বক। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, তার ত্বক আগের অবস্থায় আর ফিরবে না।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, প্রথমে আমি একটা বোটানিক এ্যারোমা ব্যবহার করলাম। এরপর আরেকটা ব্যবহার শুরু করার পরে দেখি আমার মুখের চামড়া কালো হয়ে যাচ্ছে। আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। ডাক্তার বললেন, বোটানিক এ্যারোমার বিরুদ্ধে অনেকগুলো কেস আমরা পেয়েছি। অনেকের স্কিন ক্যানসার হয়ে গেছে।
বোটানিক এ্যারোমার ক্রিমের গুণগতমান নিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সম্রাটকে কারাগারে যেতে হয়েছে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় সেসময় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছিল।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন প্রয়োজন এমন কিছু পণ্য যেমন, বোটানিক স্কিন ক্রিম, বোটানিক এ্যারোমা, ফেয়ারনেস ক্রিম, ব্রোনের ক্রিম এগুলো কি বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান না-সূচক জবাব দেন। কিন্তু তার কথার উল্টো চিত্র দেখা গেল রাজধানীর নিউ মার্কেটে গিয়ে। সেখানে বিক্রি হচ্ছে বোটানিক এ্যারোমার বিভিন্ন ধরনের স্কিন ক্রিম।
নিউ মার্কেটের একটি দোকানের মালিক জানান, বোটানিক এ্যারোমার ডিলাররা আমাদের কাছে তিন দিন পরপর আমাদের কাছে আসেন। আমরা চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার দিই, সেগুলো তারা দিয়ে যায়। মোটামুটি প্রতিদিনই এধরনের পণ্য বিক্রি হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য নকল করে বাজারজাত করছে।
বিএসটিআই পরিচালক কমল প্রসাদ দাশ জানান, ক্ষতিকারক মারকারি থাকার কারণে বোটানিক এ্যারোমার লাইসেন্স বাতিল করি। এসব পণ্য জব্দ করে প্রকাশ্যে নষ্ট করা হয় এবং কারখানা পুরোপুরি সিলগালা করা হয়।
অবৈধ ব্যবসার কারণে কেরানীগঞ্জের কারখানা সিলগালা করা হলেও বোটানিক এ্যারোমার ব্যবসা থেমে থাকেনি। নতুন করে বড় পরিসরে তারা আরো কারখানা তৈরি করেছে। তৈরি হচ্ছে লোশন, হেয়ার জেল, ফেইসওয়াশ ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য।
স্কিন ক্রিম উৎপাদনের কথা অস্বীকার করা হলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ফেইস ক্রিম মজুদ আছে। নতুন কারখানার ল্যাবে গিয়ে দেখা গেছে নামি-দামি সব কোম্পানির লোশন ও ক্রিম। সেখানে যেসব কাঁচামাল রয়েছে এর অধিকাংশের মেয়াদ ২০১১ সাল পর্যšত্ম।
একইভাবে বোটানিক এ্যারোমার বিজ্ঞাপন দেখে এবং তা বিশ্বাস করে অনেকেরই পরিণাম হয়েছে ভয়াবহ। কৃষিবিদ মোসলেম উদ্দিন বিশ্বাসকে মূল্য দিতে হয়েছে তার চেহারা দিয়ে। পুড়ে গেছে তার মুখের ত্বক। বিশেষজ্ঞরা
বলছেন, তার ত্বক আগের অবস্থায় আর ফিরবে না।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, প্রথমে আমি একটা বোটানিক এ্যারোমা ব্যবহার করলাম। এরপর আরেকটা ব্যবহার শুরু করার পরে দেখি আমার মুখের চামড়া কালো হয়ে যাচ্ছে। আমি ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। ডাক্তার বললেন, বোটানিক এ্যারোমার বিরুদ্ধে অনেকগুলো কেস আমরা পেয়েছি। অনেকের স্কিন ক্যানসার হয়ে গেছে।
বোটানিক এ্যারোমার ক্রিমের গুণগতমান নিয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান সম্রাটকে কারাগারে যেতে হয়েছে। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় সেসময় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দিয়েছিল।
বিএসটিআইয়ের অনুমোদন প্রয়োজন এমন কিছু পণ্য যেমন, বোটানিক স্কিন ক্রিম, বোটানিক এ্যারোমা, ফেয়ারনেস ক্রিম, ব্রোনের ক্রিম এগুলো কি বাজারে পাওয়া যায় এমন প্রশ্ন করলে চেয়ারম্যান না-সূচক জবাব দেন। কিন্তু তার কথার উল্টো চিত্র দেখা গেল রাজধানীর নিউ মার্কেটে গিয়ে। সেখানে বিক্রি হচ্ছে বোটানিক এ্যারোমার বিভিন্ন ধরনের স্কিন ক্রিম।
নিউ মার্কেটের একটি দোকানের মালিক জানান, বোটানিক এ্যারোমার ডিলাররা আমাদের কাছে তিন দিন পরপর আমাদের কাছে আসেন। আমরা চাহিদা অনুযায়ী অর্ডার দিই, সেগুলো তারা দিয়ে যায়। মোটামুটি প্রতিদিনই এধরনের পণ্য বিক্রি হয়।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা এসব পণ্য নকল করে বাজারজাত করছে।
বিএসটিআই পরিচালক কমল প্রসাদ দাশ জানান, ক্ষতিকারক মারকারি থাকার কারণে বোটানিক এ্যারোমার লাইসেন্স বাতিল করি। এসব পণ্য জব্দ করে প্রকাশ্যে নষ্ট করা হয় এবং কারখানা পুরোপুরি সিলগালা করা হয়।
অবৈধ ব্যবসার কারণে কেরানীগঞ্জের কারখানা সিলগালা করা হলেও বোটানিক এ্যারোমার ব্যবসা থেমে থাকেনি। নতুন করে বড় পরিসরে তারা আরো কারখানা তৈরি করেছে। তৈরি হচ্ছে লোশন, হেয়ার জেল, ফেইসওয়াশ ও বিভিন্ন ধরনের পণ্য।
স্কিন ক্রিম উৎপাদনের কথা অস্বীকার করা হলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে কারখানায় বিভিন্ন ধরনের ফেইস ক্রিম মজুদ আছে। নতুন কারখানার ল্যাবে গিয়ে দেখা গেছে নামি-দামি সব কোম্পানির লোশন ও ক্রিম। সেখানে যেসব কাঁচামাল রয়েছে এর অধিকাংশের মেয়াদ ২০১১ সাল পর্যšত্ম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন