মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৩

বয়ঃসন্ধিতে ত্বকের যত্ন


বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের আবার ত্বকের যত্ন কী। ওদের ত্বক এমনিতেই ভালো থাকে। কিন্তু এ সময়ে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হতে শুরু করে। এ কারণে ত্বকে নানা রকমের সমস্যা হতে থাকে।
হঠাত্ করে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, ব্রণ ওঠা, কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বক রুক্ষ হয়ে ওঠা—কত সমস্যাই হতে পারে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কিউবেলার স্বত্বাধিকারী ফারজানা মুন্নী। তিনি বলেন, স্কুল বা কলেজ তো আছেই, আবার কোচিং বা শিক্ষকের কাছে পড়ার কারণে বারবার বাইরে যেতে হয়। ধুলাবালু সহজে ত্বকে জমে। প্রতিদিন যদি তা ভালোভাবে পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে তা থেকে চর্মরোগ হতে পারে। তাই বাড়িতে ফিরে কিশোরীদের উপযোগী ফেসিয়াল ক্লিনার, ফেসিয়াল জেল বা ফোম দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।
যাদের ত্বক তৈলাক্ত হয়, তারা মনে করে, ময়েশ্চারাইজার লোশন বা ক্রিম
ব্যবহার করা ঠিক নয়। এ ধারণা ভুল। ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ত্বককে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভারী কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করে পানিযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। সারা দিন সুযোগ না থাকলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারে। আর দিনের বেলা অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
১৫ বছর বয়সের পর থেকে সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্রে গিয়ে শুধু ত্বক পরিষ্কার করে আনতে পারে। এ ছাড়া নানা ধরনের ফল দিয়ে ফ্রুট ফেসিয়াল, ত্বক পরিষ্কার করে মুলতানি মাটি ও চন্দনের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
এসব রূপচর্চা চাইলে বাড়িতে বসেও করা যায়। মুলতানি মাটি, চন্দন, কাঁচা হলুদ বা মধু দিয়ে প্যাক তৈরি করা যেতে পারে। বাড়িতে কলা, পেঁপে, তরমুজ বা কমলা থাকলে প্যাক হিসেবে সেসবও ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন এই প্যাক লাগানো প্রয়োজন। বাইরে বের হলে প্রতিদিন মৃদু ক্ষারের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
বাড়িতে বসেই হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে হাত-পা ডুবিয়ে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে পারেন।
আসল কথা হলো, হাত, পা, চুল—সব পরিষ্কার রাখলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বাড়ে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন