
ওয়াক্সিং:
ওয়াক্সিং হাত পায়ের হেয়ার রিমুভিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। ওয়াক্সিং এ একসাথে অনেক পরিমাণে লোম উঠানো
যায় ও দীর্ঘসময় পর্যন্ত লোমমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। হেয়ার গ্রোথের উপর ভেদ করে এটি ৪-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত লোমহীন রাখে। কিন্তু ওয়াক্সিং এর ফলে স্পর্শকাতর ত্বকে লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া বা র্যাশ ওঠা সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। পার্লারে ওয়াক্সিং করা ব্যয়বহুল আর বাড়িতে করা বেশ ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার।
হেয়ার রিমুভিং ক্রিমঃ
দ্রুত, কম খরচে ও ব্যথামুক্ত উপায়ে লোম উঠানোর জন্য হেয়ার রিমুভিং ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি আবার লোম ফিরে আসে। যাদের হেয়ার গ্রোথ বেশি তাদের ক্ষেত্রে ২-৩ দিনেই আবার লোম দেখা দেয়। তাছাড়া হেয়ার রিমুভিং ক্রিমের অতিরিক্ত কেমিকেল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
হেয়ার রিমুভিং স্ট্রিপঃ
ইদানীং হেয়ার রিমুভিং এর এই পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে না পারলে অতটা কাজে দেবে না। স্ট্রিপ ব্যবহারের পূর্বে এটিকে মোমবাতির আগুনে হালকা গরম করে নিন। খুব ভালো কাজ করবে।
এবার জেনে নিই এপিলেটরের ব্যবহারঃ
এপিলেটর লোম উঠানোর বৈদ্যুতিক যন্ত্র। এতে সাধারণত রিচার্জেবল ব্যাটারী সংযুক্ত থাকে। একবার চার্জ দিলে ১ – ১ ১/২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। প্রথম কয়েকবার বেশ ব্যথাদায়ক হলেও, প্রতিবার লোম উঠানোর পর পরবর্তী গজানো লোম বেশ পাতলা হয়ে আসে। তাই আর ব্যথা থাকে না। এপিলেটর লোম গোড়া থেকে তুলে আনে, তবে ওয়াক্সিং এর মত করে নয়। তাই ২-৩ সপ্তাহ পর আবার লোম ফিরে আসে। তবে দামী ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেও দীর্ঘদিনের ব্যবহারে লোম উঠার সময় আরো দীর্ঘ হয়। এপিলেটর মূলত হাত পায়ের লোম উঠাতে ব্যবহৃত হয়। বিকিনি লাইন, আন্ডারআর্মে বা মুখে এপিলেটর ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এসব অংশের ত্বক অত্যন্ত নরম ও সংবেদনশীল। তবে অনেক এপিলেটরে সংবেদনশীল অংশে ব্যবহারের জন্য আলাদা অ্যাটাচমেন্ট থাকে। দাম ও ব্র্যান্ড ভেদে এপিলেটরের সাথে বিভিন্ন অ্যাটাচমেন্ট দেয়া হয়, যেমন- শেভার, ম্যাসেজার, ট্রিমার, আইস চেম্বার, বিকিনি লাইন ও আন্ডারআর্মে ব্যবহারের জন্য সেফটি ক্যাপ সহ টুইজার ইত্যাদি।
এপিলেটর ব্যবহারের কিছু টিপসঃ
- এপিলেটর ব্যবহারের আগে গোসল করে নিন। এতে লোমের গোড়া নরম হয় ও সহজে উঠে আসে। অনেক এপিলেটর পানিরোধী ফলে গোসলের সময়ও ব্যবহার করা যায়।
- সম্ভব হলে হাত ও পা স্ক্রাবিং করে নিন। এতে ত্বক মসৃন ও নরম হয় ও এপিলেটর ব্যবহার সহজ হয়।
- এপিলেটর সবসময় হেয়ার গ্রোথের উল্টো দিকে টানুন, এতে লোম সহজে গোড়া থেকে উঠে আসবে ও মসৃণ ফিনিশ পাওয়া যাবে।
- এপিলেটর ব্যবহারের পর প্রথম দিকে কারো কারো র্যাশ ওঠা বা লাল হয়ে যেতে পারে। তাই কোন অনুষ্ঠানের ২-৩ দিন আগে এপিলেশন করুন।
- এপিলেটর ব্যবহারের সময় চামড়া টেনে ধরুন, এতে ব্যথা কম লাগবে
- এপিলেটর ব্যবহারের পর ওই স্থানে বরফ ঘষে নিন ও ময়েশ্চারাইজার লাগান।
Braun’s Silk-épil এপিলেটরের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতমানের। দাম ৭০০০ থেকে ৭৫০০ হাজার টাকা। এছাড়াও Panasonic (5000-5500 ), phyllips epilator (3500-4500 টাকা)। তাছাড়া ননব্র্যান্ড ও চাইনিজ ব্র্যান্ডের অনেক এপিলেটর ১০০০-১৫০০ টাকায় পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন